বাংলাদেশ

[বাংলাদেশ][bleft]

ধর্ম

[ধর্ম][bleft]

টিপস ও ট্রিকস

[টিপস ও ট্রিকস][bsummary]

ব্যাবসা বানিজ্য

[business][twocolumns]
[কবিতা][bleft]

গ্রাফিক ডিজাইন

[পোষ্টার][ব্যানার][bleft]

কবিতা

4-latest-400px-bloglist

Popular Posts

তোমার সবচেয়ে অসাধারণ বেকিং বা রান্নার ব্যর্থতা সম্পর্কে বলো।

 

আই এ এম প্রবাসী শাহিন_তোমার সবচেয়ে অসাধারণ বেকিং বা রান্নার ব্যর্থতা সম্পর্কে লিখো।

আমার সবচেয়ে অসাধারণ রান্নার ব্যর্থতা

রান্নাঘর এমন এক জায়গা যেখানে কখনো সফলতা আসে, কখনো আবার ভয়াবহ ব্যর্থতা। আমি নিজেও একবার এমন এক ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা আজও মনে করলে হাসি পায়।

ঘটনাটা ছিল এক শীতের বিকেলে। আমি ভেবেছিলাম পরিবারের সবাইকে চমকে দেবো নিজের হাতে কেক বানিয়ে। রেসিপি দেখে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলাম—ডিম, ময়দা, চিনি, মাখন সব সুন্দরভাবে মেপে নিয়েছিলাম। কিন্তু একটা ছোট ভুল পুরো কেকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিল। চিনি আর লবণের বোতল দেখতে প্রায় একই রকম ছিল, আর আমি ভুল করে চিনি না দিয়ে লবণ দিয়ে ফেললাম!

ওভেন থেকে যখন কেক বের হলো, দেখতে একেবারে নিখুঁত—সোনালি রং, ফোলাফোলা গঠন, আর সুগন্ধিও যেন বেশ ভালো লাগছিল। সবাই টেবিলে বসে গেল, আমি গর্ব ভরে কেক কেটে পরিবেশন করলাম। কিন্তু প্রথম কামড় দেওয়ার পরই সবার মুখের ভঙ্গি দেখে বুঝলাম কিছু একটা ভয়ানক গণ্ডগোল হয়েছে। মিষ্টি কেক হওয়ার বদলে সেটা ছিল যেন এক বিশালাকার লবণ-রুটি!

প্রথমে লজ্জা পেলেও পরে আমরা সবাই হেসে গড়াগড়ি খেলাম। পরিবারের অনেকে বললো, “কেকটা হয়তো কোনো নতুন ধরনের ডায়েট রেসিপি!” ব্যর্থতা সেদিন আমাকে একটাই শিক্ষা দিল—রান্নায় আত্মবিশ্বাস ভালো, কিন্তু সতর্কতা আরও জরুরি।

আজও যখন আমি কেক বানাই, প্রথমেই বোতলের গায়ে লেখা পড়ে নেই, তারপরই উপকরণ ব্যবহার করি। সেই ব্যর্থ কেক হয়তো খাওয়া যায়নি, কিন্তু গল্পটা এখনো আমাদের পারিবারিক আড্ডায় হাসির খোরাক হয়ে আছে।


আমার সবচেয়ে অসাধারণ রান্নার ব্যর্থতা  নিম্নে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করা হলো

রান্নাঘরকে আমি সবসময়ই একটা পরীক্ষাগার ভেবেছি। কখনো নতুন নতুন রেসিপি চেষ্টা করি, কখনো আবার পুরনো খাবারগুলো নতুনভাবে বানানোর চেষ্টা করি। তবে একবার এমন একটা ভয়াবহ ব্যর্থতা ঘটেছিল, যা আমার কাছে আজও এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা।

ঘটনাটা ঘটেছিল এক শীতল বিকেলে। হঠাৎ মাথায় এল, পরিবারের সবাইকে আমি সারপ্রাইজ দেবো—নিজের হাতে কেক বানিয়ে। ইউটিউব থেকে রেসিপি দেখে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম, “আজ আমি নিজেই মাস্টার শেফ হয়ে যাবো।”

সব উপকরণ টেবিলে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলাম—ডিম, ময়দা, বেকিং পাউডার, চিনি, মাখন। ধাপে ধাপে রেসিপি অনুসারে এগোলাম। ডিম ভাঙা থেকে শুরু করে মাখন ফেটানো পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। ব্যাটারটা তৈরি করার সময় বেশ আনন্দ হচ্ছিল। ফেটতে ফেটতে ব্যাটার ফোলাফোলা হয়ে উঠছিল, দেখতে যেন একেবারে টিভির রান্না শো-এর মতো।

কিন্তু সমস্যাটা ঘটলো যখন আমি চিনি দেওয়ার সময় ভুল করে লবণ দিয়ে ফেললাম। আসলে রান্নাঘরে তখন দুটো বোতল পাশাপাশি রাখা ছিল—একটায় চিনি, আরেকটায় লবণ। দেখতে প্রায় একই রকম, আর আমি যাচাই না করেই মেপে নিয়ে ব্যাটারে ঢেলে দিলাম।

কেকটা যখন ওভেন থেকে বের হলো, আমার আনন্দ আর গর্বের সীমা রইলো না। দেখতে একেবারে পারফেক্ট—সোনালি রঙের, হালকা ফোলা, আর উপরে সামান্য ক্রিসপি ভাব। পরিবারের সবাইকে ডাকলাম, কেক কাটলাম, আর বড় আনন্দ নিয়ে পরিবেশন করলাম।

প্রথম কামড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার মুখের ভঙ্গি দেখে আমার বুক কেঁপে উঠলো। হাসি চেপে রাখতে পারছিল না কেউ। আমি নিজেও এক টুকরো খেলাম, আর বুঝলাম—এই কেকটা আসলে “মিষ্টি কেক” না, বরং “লবণ-কেক”! মনে হচ্ছিল এক টুকরো কেক নয়, এক মুঠো লবণ খেয়ে ফেলেছি।

সেদিন বাড়িতে এক অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি হলো। প্রথমে সবাই অবাক হয়ে গেলেও পরে এমন হাসাহাসি শুরু হলো যে কারও মুখ বন্ধ করা যাচ্ছিল না। মা বললেন, “এটা হয়তো কোনো নতুন ধরনের ডায়েট কেক।” বাবা মজা করে বললেন, “এই কেক বাজারে নামালে নাম দেবে—‘লো-সুগার, হাই-সাল্ট কেক!’”

সেদিনের ব্যর্থতা আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিল—রান্নায় আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি, কিন্তু সতর্কতা আরও বেশি জরুরি। ছোট্ট একটি ভুল, যেমন বোতলের গায়ে লেখা না দেখা, পুরো রেসিপিকে নষ্ট করে দিতে পারে।

আজও যখন আমি কেক বানাই, প্রথমেই উপকরণের বোতল ভালো করে দেখে নেই। আর সেই ব্যর্থ কেকের গল্প এখনো আমাদের পারিবারিক আড্ডায় হাসির খোরাক হয়ে আছে। ব্যর্থ কেকটা খাওয়া যায়নি, কিন্তু স্মৃতিটা এখনো অমূল্য!

IAM Probashi Shahin is a UNIC post Knolegeable pote।History।News।Answer। & Life Social Style.