বাংলাদেশ

[বাংলাদেশ][bleft]

ব্লগ

[Blog][bleft]

ধর্ম

[Islam][bleft]

টিপস ও ট্রিকস

[টিপস ও ট্রিকস][bsummary]

ব্যাবসা বানিজ্য

[business][twocolumns]

Top Menu

১ মে

ব্লগ

5-latest-800px-slider

Sections

[কবিতা][bleft]

ব্লগ

5-latest-800px-composition1

Comments

4-comments

কবিতা

4-latest-400px-bloglist

Popular Posts

ইফতার বলতে কি নোঝাই


ইফতার বলতে কি নোঝাই

 ইফতার বলতে কি নোঝাই।
ভুমিকা: ইফতার (আরবি: إفطار‎‎) রমজান মাসে সূর্যাস্তের পরে মুসলিমদের রোজা ভাঙার প্রথা। এটি রমজান মাসের প্রতিদিনের সন্ধ্যাবেলার প্রধান আহার। ইফতারের মাধ্যমে দিনের রোজার সমাপ্তি হয়। রমজান মাসে ইফতারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

ইফতারের তাৎপর্য:
ইফতার শব্দটি আরবি 'ফুতুর' (فطور) শব্দ থেকে এসেছে। এর আক্ষরিক অর্থ হলো 'ভঙ্গ করা', 'শেষ করা' বা 'খোলা'। ইসলামী পরিভাষায়, ইফতার মানে হলো সূর্যাস্তের পর রোজা ভঙ্গ করা বা উপবাস সমাপ্ত করা।

রমজান মাসে, মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। সূর্যাস্তের পর, তারা খেজুর বা পানি খেয়ে রোজা ভাঙেন। এই খাবার গ্রহণকেই ইফতার বলা হয়।

ধর্মীয় তাৎপর্য:

  • ইফতার হলো আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।
  • এটি রোজা পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক।
  • ইফতারের মাধ্যমে রোজাদার ব্যক্তি তার দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার পর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত এর শুকরিয়া আদায় করে।
সামাজিক তাৎপর্য:ইফতারের সময় পরিবার এবং বন্ধুরা একসাথে খাবার গ্রহণ করে, যা সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।
এটি দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের সাথে খাবার ভাগ করে নেওয়ার একটি সুযোগ।
ইফতারের মাধ্যমে সমাজের মধ্যে এক ধরণের ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি তৈরি হয়।

স্বাস্থ্যগত তাৎপর্য:দীর্ঘ সময় উপবাসের পর ইফতার শরীরকে পুনরায় শক্তি জোগায়।
এটি শরীরের পানির অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।
ইফতারের মাধ্যমে পরিমিত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে।
ইফতারের সময় কিছু বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়, যা এর গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ইফতার শুধু একটি খাবার গ্রহণ নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক অনুশীলন যা মুসলমানদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

ধর্মীয় তাৎপর্য: ইফতার হলো আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি উপায়।

এটি রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় মুহূর্ত, যা দীর্ঘ সময় উপবাসের পর আসে।
ইসলামে ইফতারের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
সামাজিক বন্ধন:ইফতারের মাধ্যমে পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়।
এটি দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের সাথে খাবার ভাগ করে নেওয়ার একটি সুযোগ।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের সময়টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, এই সময় দোয়া কবুল হয়।

স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:দীর্ঘ সময় উপবাসের পর ইফতার শরীরকে পুনরায় শক্তি যোগায়।
এটি শরীরের পানির অভাব পূরণ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে।

ইফতারের নিয়ম:
সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করা সুন্নত।
খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করা উত্তম।
ইফতারে হালকা খাবার খাওয়া উচিত, যাতে হজমে সমস্যা না হয়।
ইফতারের পূর্বে ইফতারি সামনে নিয়ে দোয়া করা সুন্নত।

ইফতারের খাবার:
খেজুর, পানি, ফল, শরবত, ইত্যাদি।
হালকা খাবার, যেমন ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, ইত্যাদি।
এছাড়াও অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রচলিত রয়েছে।

ইফতার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:

ইফতারের সময়:
সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করা সুন্নত।
সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা উত্তম। এতে রোজার পূর্ণতা আসে।
ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথেই দেরি না করে ইফতার করা নবীর (সা.) সুন্নত।
ইফতারের তাৎপর্য:
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা: সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
গুনাহ মাফ: রমজান মাসে ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এই সময় আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করা উচিত।
সামাজিক সম্প্রীতি: ইফতারের মাধ্যমে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়। এছাড়াও দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে খাবার বিতরণ করে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা যায়।
শারীরিক সুস্থতা: দীর্ঘ সময় উপবাসের পর ইফতার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে পুনরায় শক্তি যোগায় এবং পানিশূন্যতা দূর করে।
ইফতারের সুন্নত:
খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করা সুন্নত।
ইফতারের আগে দোয়া করা সুন্নত।
অন্য রোজাদারদের ইফতার করানো সুন্নত।
ইফতারের সময় দোয়া করা সুন্নত।
ইফতারের খাবার:
খেজুর, পানি, ফল, শরবত, ইত্যাদি।
হালকা খাবার, যেমন ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, ইত্যাদি।
এছাড়াও অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রচলিত রয়েছে।
ইফতারের সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ইফতারের দোয়া:
ইফতারের আগে এই দোয়া পড়া সুন্নত: "আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু।" (অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।)

ইফতারের সামাজিক দিক:
রমজান মাসে বিভিন্ন মসজিদে ও সামাজিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
অনেক মানুষ দরিদ্র ও অসহায়দের মধ্যে ইফতার বিতরণ করে।
ইফতারের মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
ইফতার হলো রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, গুনাহ মাফ এবং সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা যায়।

ইফতারের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য:
আত্মশুদ্ধি: রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়, আর ইফতারের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়াটি পূর্ণতা পায়।
আল্লাহর নৈকট্য লাভ: ইফতারের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহায্য করে।
ধৈর্য ও সংযম শিক্ষা: দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার পর ইফতারের মাধ্যমে ধৈর্য ও সংযমের পরীক্ষা দেওয়া হয়।
ইফতারের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক:
ঐক্য ও সংহতি: ইফতারের সময় পরিবার, প্রতিবেশী এবং বন্ধু-বান্ধবরা একত্রে মিলিত হয়, যা ঐক্য ও সংহতি বাড়ায়।
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি: ইফতারের সময় দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়, যা তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: বিভিন্ন অঞ্চলে ইফতারের বিভিন্ন ধরনের খাবার ও আয়োজন দেখা যায়, যা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে।

ইফতারের স্বাস্থ্যগত দিক:
শক্তির পুনরুদ্ধার: সারাদিন উপবাস থাকার পর ইফতারের মাধ্যমে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি ফিরে পায়।
পানিশূন্যতা পূরণ: ইফতারের সময় পানি ও অন্যান্য তরল খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করা হয়।
হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করা: হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা যায়।
ইফতারের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ইফতারের সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরের জন্য উপকারী।
ইফতারের সময় দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের কথা স্মরণ রাখা উচিত।
ইফতারের সময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।
ইফতারের মাধ্যমে আমরা শুধু খাবার গ্রহণ করি না, বরং এর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করি, সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করি এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখি।



Translate