বাংলাদেশ

[বাংলাদেশ][bleft]

ধর্ম

[ধর্ম][bleft]

টিপস ও ট্রিকস

[টিপস ও ট্রিকস][bsummary]

ব্যাবসা বানিজ্য

[business][twocolumns]
[কবিতা][bleft]

গ্রাফিক ডিজাইন

[পোষ্টার][ব্যানার][bleft]

কবিতা

4-latest-400px-bloglist

Popular Posts

যদি তোমাকে এমন একটি শব্দ ত্যাগ করতে হয় যা তুমি নিয়মিত ব্যবহার করো, তাহলে সেটা কী হবে।

 


যদি আমাকে একটি শব্দ ত্যাগ করতে হয়

ভাষা মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ। প্রতিটি শব্দের ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনুভূতি, ভাবনা, আর যোগাযোগের ক্ষমতা। আমরা যখন কথা বলি বা লিখি, তখন শব্দের মাধ্যমেই আমাদের মনকে প্রকাশ করি। কিন্তু যদি আমাকে বলা হয়, এমন একটি শব্দ বেছে নিতে হবে যেটা আমি প্রতিদিন ব্যবহার করি, অথচ ত্যাগ করতে হবে—তাহলে বিষয়টা নিঃসন্দেহে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

আমরা প্রায়ই কিছু শব্দ অজান্তেই বারবার ব্যবহার করি। যেমন—“হয়তো”, “আচ্ছা”, বা “মানে”। এগুলো তেমন গুরুতর না হলেও আমাদের কথার ভেতরে অনেক সময় অযথা ভরে ওঠে। আমি যদি সত্যিই একটি শব্দ ত্যাগ করতে চাই, তাহলে আমি “হয়তো” শব্দটি ছেড়ে দেব।

কারণ “হয়তো” শব্দটি অনিশ্চয়তার প্রতীক। এটি ব্যবহার করলে মনে হয় আমি নিশ্চিত নই, দৃঢ় নই, বা আমার মধ্যে দ্বিধা আছে। অথচ জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আত্মবিশ্বাস থাকা জরুরি। যদি আমি সবসময় “হয়তো” বলি, তবে আমার কথার দৃঢ়তা হারিয়ে যাবে। “হ্যাঁ” বা “না”—এই দুটি স্পষ্ট শব্দই অনেক বেশি শক্তিশালী।

“হয়তো” বাদ দিলে আমি হয়তো (এইবার ইচ্ছাকৃত) আরও দৃঢ় হবো। আমার সিদ্ধান্তে স্পষ্টতা আসবে, আমার কথায় ভরসা তৈরি হবে। ভাষা তখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হবে না, বরং আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনও ঘটাবে।

সুতরাং, যদি আমাকে একটি শব্দ ত্যাগ করতে হয়, আমি “হয়তো” শব্দটিকেই বিদায় জানাবো। কারণ আমি চাই আমার চিন্তা, কথা আর লেখায় অনিশ্চয়তার বদলে আসুক দৃঢ়তা, স্পষ্টতা আর আত্মবিশ্বাস।

যদি আমাকে একটি শব্দ ত্যাগ করতে হয় – আরও বিস্তারিত

ভাষা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। কথা বলা বা লেখা ছাড়া আমরা নিজেদের সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারি না। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু শব্দ আছে যেগুলো আমরা এত বেশি ব্যবহার করি যে কখনো খেয়ালও করি না সেগুলো আমাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস বা চিন্তার স্বচ্ছতায় প্রভাব ফেলছে।

আমি যখন ভাবি কোন শব্দটি ত্যাগ করতে পারি, তখন প্রথমেই মনে আসে—“হয়তো”। কারণ “হয়তো” শব্দটির মধ্যে সবসময় দ্বিধা থাকে।

কেন “হয়তো” শব্দটি ত্যাগ করব?

  • অনিশ্চয়তার প্রতীক: “হয়তো” মানে আমি নিশ্চিত নই। যেমন, “হয়তো কাল দেখা হবে” বা “হয়তো আমি পারব”—এমন বাক্য শোনার পর মনে হয় বক্তা নিজেই দ্বিধায় ভুগছে।
  • আত্মবিশ্বাসের অভাব: জীবনে আমরা অনেক সময় অজান্তেই আত্মবিশ্বাস কম দেখাই, আর এই শব্দটি সেই দুর্বলতার প্রতিফলন।
  • অন্যদের বিভ্রান্ত করে: যখন কাউকে বলি—“হয়তো আসব”—সে নিশ্চিত হতে পারে না আমি আসব কি আসব না। ফলে কথার মান কমে যায়।

ত্যাগ করলে কী লাভ হবে?

যদি “হয়তো” বাদ দিই, তবে আমার প্রতিটি বাক্য হবে আরও স্পষ্ট, শক্তিশালী ও দৃঢ়।

  • “হয়তো আমি পারব” এর পরিবর্তে বলব—“আমি পারব।”
  • “হয়তো কাল আসব” এর পরিবর্তে বলব—“আমি কাল আসব।”

এভাবে ছোট্ট একটি শব্দ বাদ দিলেও জীবনের অনেকখানি বদল আসতে পারে। আমার কথা হবে আত্মবিশ্বাসী, আমার সিদ্ধান্ত হবে দৃঢ়, আর অন্যরা আমার ওপর আরও বেশি ভরসা করতে পারবে।

জীবনের শিক্ষা

শব্দ ত্যাগ করার এই ধারণা আমাদের আসলে মনে করিয়ে দেয়—আমরা কোন শব্দ ব্যবহার করছি, তা ভেবে দেখা জরুরি। কারণ শব্দ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের মানসিক অবস্থার প্রতিচ্ছবিও। যদি আমরা সচেতনভাবে এমন শব্দ বেছে নিই যা আমাদের শক্তিশালী করে, তবে আমাদের জীবনও হবে আরও ইতিবাচক।

তাহলে বলা যায়, যদি আমাকে একটি শব্দ ত্যাগ করতে হয়, আমি নিঃসন্দেহে “হয়তো” শব্দটিকে বিদায় জানাব। কারণ আমি চাই আমার ভাষায় থাকুক আত্মবিশ্বাস, স্বচ্ছতা আর দৃঢ়তার আলো।



IAM Probashi Shahin is a UNIC post Knolegeable pote।History।News।Answer। & Life Social Style.